বিষয়টি নেটমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। আজাজ প্যাটেলও ছবিও পোস্ট করেছেন। একবার খেলার সুযোগ পেয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তাড়িয়ে তাড়িয়ে বিষয়টি উপভোগ করেছেন। নিজের অলরাউন্ড দক্ষতাও প্রদর্শন করেছেন যখন তিনি ব্যাটিং এবং বোলিং করেছিলেন।দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া সম্পর্কের কথা তুলে ধরে লুক্সন নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ এই চিত্র নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটের প্রতি আমাদের ভালোবাসাকেই বোঝায়। আমাদের ঐক্যতারও পরিচয় দেয়’।
এরপর তিনি খেলার ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ‘ভারতের বিপক্ষে কিউয়িদের জেতাতে অনেক পরিশ্রম করছি ’।ক্রিকেটপ্রেমের জন্য অত্যন্ত পরিচিত লুক্সন। নিজের কাজের ফাঁকে সময় পেলেই তিনি ক্রিকেট মাঠে চলে যান খেলা দেখতে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ ফাইনালে ভারতের কাছে তাদের সাম্প্রতিক পরাজয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
লুক্সন এবং তার প্রতিনিধি দল বাণিজ্য, শিক্ষা এবং ক্রীড়া সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আলোচনা করতে নয়াদিল্লিতে ছিলেন। তবে দিনের শেষে নেটমাধ্যমে তাঁদের ক্রিকেটপ্রেমই আলোচনাযর বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করবে বলে আশায় সকলে।যৌথ ভাষণের সময় , নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লুক্সন হালকাভাবে মন্তব্য করেছিলেন যে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের পরাজয় নিয়ে আলোচনা না করার জন্য তার এবং মোদীর পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিল,
কারণ এটি একটি “বড় কূটনৈতিক ঘটনা” হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, সম্প্রতি দুবাইয়ে আমরা যে ম্যাচ খেলেছি তাতে ভারতের কাছে নিউজিল্যান্ডের হারের প্রসঙ্গটি না তোলার জন্য আমি সত্যিই প্রশংসা করছি। কিন্তু সাম্প্রতিক ভারত সফরে আমরা যে টেস্ট সিরিজ জিতেছি সেটাও কিন্তু আমরা উল্লেখ করিনি।
হাসতে হাসতে কিউয়ি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুতরাং, আসুন আমরা এভাবেই একসঙ্গে থাকি’। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তার হাসি চেপে রাখতে পারেননি। রস টেলর, যিনি প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন, বিনোদনে অংশ নিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যকে আরও জোরদার করেছিলেন।